গফরগাঁওয়ে এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পাশে সূর্যমুখী বাগান। ময়মনসিংহ গফরগাঁও প্রতিনিধি: মাহফুজু্র রহমান রাফি গফরগাঁও উপজেলা এশিয়া হাইওয়ে রোড রাগাই চটি গ্রাম সুজন মেম্বার এর দোকানের পাশেই চোখে পড়বে সবুজের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের হাসি। সবুজের মাঝে যেন হলুদ রঙের ঢেউ। সকালের সোনা রোদে পাপড়ি মেলে সূর্যমুখী। দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেতে সূর্যমুখীর চাষ। নীল আকাশের সঙ্গে হলুদের এই সৌন্দর্য্য যে কারো মনে দোলা দিয়ে যায়। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা মানেই ফসলি জমিতে মৌসুমে ধান চাষের সমরোহ। কখনও হয়তো কৃষকরা ভাবেননি এমন জমিতে ধানের পাশপাশি সূর্যমুখী ফুলেরও চাষ করা সম্ভব। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এ কাজটি সফলভাবে করে দেখিয়েছেন ডাক্তার বেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে ডাক্তার তানভীর বাবু। আর তাদের কে দেখে আগামীতে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এখানকার কৃষক। ডাক্তার বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রায় ৩৮ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর ফলন ফলাইছি। নিজ উদ্যোগে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইনভেস্ট করে এইডা দেখতেও সুন্দর আর খুবই বাম্পাইরা ফল। এইডা বাম্পার যে বাম্পারই। চাষে যদি ২০ হাজার টেহা খরচ অয়। তাইলে ৬০ থেইক্যা ৭০ হাজার টেহা লাভ করতারবাম। আগামীতে আম্বই এইহানো আরও তিনডা ক্ষেত বাড়াইবাম।’ প্রতিদিন বিকালে শহরসহ আশেপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য্য পিয়াসুরা দল বেঁধে আসেন এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। অনেকেই বাগানে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন। কিন্তু এমন সৌন্দর্যপ্রেমীদের প্রতি জামাল মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘শহর থেইক্যা তিনারা আইয়া ছবি তুলে, আমি তো নিষেধ করি না। কিন্তু আমার বাগানডা পাড়াইয়া অনেক ক্ষয়ক্ষতি করে।’ ঢাকা থেকে গফরগাঁও বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন শম্পা বলেন, অপূর্ব এক অনুভূতি। সবুজের বুকে অন্যান্য ফসলের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের এমন বাগান আমি কখনো আগে দেখিনি। তবে তিনি ফুল ছেড়া বা চাষির যেন কোনও ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন। সুজন মিয়া বলেন, ‘এমুন বাগান দেইখ্যা আমরাও ভাবতাছি আগামীতে এই চাষ করুম। অল্প সময়ে এর ফলনও ভালো হয় আর লাভও নাকি বালাই হয়। তাই আগামীতে কৃষি অফিসের সারদের লগে কতা কইয়া আমরাও এই চাষ করবাম