পরকীয়া প্রেমের টানে প্রবাসী স্বামীর বন্ধুর সাথে স্ত্রী উধাও


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে পরকীয়া সম্পকে জড়িয়েছেন স্ত্রী। প্রবাসী স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাবার বাড়ী থেকে উধাও স্ত্রী। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ইরাক প্রবাসী সফিউলের স্ত্রীর খোঁজ এখনো মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে। প্রবাসী সফিউল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সফিউল ইসলামের সঙ্গে ১১ বছর পূর্বে স্ত্রী তাহমিনার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের ৭ বছর পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে সফিউল ইরাক চলে যায়। এই সুযোগে তাহমিনা বেগম তার স্বামীর বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় স্ত্রী তাহমিনা স্বামীর পরিবারের কথা অমান্য করে পরকীর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে কয়েকবার বাড়ীতে ফিরে আনা হয়। এরকম কর্মকান্ড যেনো আর না করে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে বলা হয়। আঙ্গুর মিয়া ওই গ্রামে মৃত ফরলার রহমানের ছেলে।
আবারও গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ী থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে জানতে পারি সে তার প্রেমিক আঙ্গুরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাহমিনা উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের ফরিজল মিয়া মেয়ে।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে তাহমিনার বাবা ফরিজল হক জানান, এক বছর থেকে এই ঘটনা জানতে পরে আমার মেয়ে কে অনেক বুঝিয়েছি এর আগেও একবার আমার বাড়ী থেকে ওই ছেলে সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো আবারও আমার বাড়ী থেকে সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেলো নিজের সন্তান ফেলে আমি এখন তাদের কি জবাব দিবো।
প্রবাসী সফিউল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম গত দুইবছর পূর্বে জমি কেনার কথা বলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছে। তিনি আরও জানান, আমাদের সংসার জীবন ১১ বছরে কখনো ভাবিনি আমার স্ত্রী এমন কাজ করতে পারবে। তবে আঙ্গুর আমার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে এতো বড় ক্ষতি করবে আমি তা কখনো ভাবতে পারিনি।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধায় প্রবাসী সফিউল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান থানা হাজির হয়ে তাহমিনার বিরুদ্ধে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর অভিযোগ করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।